স্বপ্নের পদ্মা সেতু এলাকায় শত শত দর্শনার্থীর ভিড়। সবাই উন্মুখ হয়ে আছে সেতু পাড়ি দিতে। সেতু পারাপারে চাপ সামলাতে ইতোমধ্যে প্রায় ২৫টি বাস নামানো হয়েছে। ভাড়ার মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের সংখ্যাও বাড়ছে সময়ের সাথে সাথে। কয়েকগুণ ভাড়া নিয়ে যত্রতত্র তোলা হচ্ছে যাত্রী। এতে বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা।
বেলা দেড়টার দিকে আনন্দ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১৫৯৪৭) একটি বাস নিয়ম ভেঙে অননুমোদিত স্থানে পার্কিং করে যাত্রী ওঠাচ্ছিল। এই অপরাধে সেতুর মাওয়া প্রান্তে বাসটিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে পুলিশ। জরিমানার পর দুইশ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে আড়াইশ টাকা করে দেয় বাসটি।
আনন্দ পরিবহনের বাসের হেলপার নজরুল ইসলাম বলেন, তিন হাজার ট্যাকা ফাইন করছে। এই ট্যাকা তো উঠাইতে হইব। তাই পঞ্চাশ ট্যাকা কইরা বেশি ধরছি।
ভাড়ার মোটরসাইকেলে দুইজন করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। অনেক যাত্রীরই নেই হেলমেট। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মোটরসাইকেলে যাত্রীপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দুইশ টাকা।
মোটরসাইকেলের মতো মাইক্রোবাসেও বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা কেউ করছে না। ১১ আসনের একটি মাইক্রোবাসে নেওয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ জন যাত্রী। একেকজনের ভাড়া দুইশ টাকা। ১৩শ টাকা টোল দিয়ে একেক ট্রিপে লাভ থাকছে প্রায় দুই হাজার টাকা।
পিছিয়ে নেই যাত্রীবাহী বাসও। মাওয়া পর্যন্ত রুট পারমিট আছে, এমন বাসও আজ যাত্রী নিয়ে ছুটছে ভাঙ্গায়। সেতুর মাওয়া প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ভাড়া হওয়ার কথা একশ টাকা। কিন্তু দুইশ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে বাসে। মাওয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ভাঙ্গায় যাওয়া আপন পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব ৩২৪৩) হেলপার বাড়তি ভাড়া প্রসঙ্গে বলেন, সখের দাম ২০০ ট্যাকা।
মাওয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, মাওয়ার পরে রুট পারমিট নেই, এমন অনেক বাসে যাত্রীরা সেতু পার হচ্ছেন। আজকের জন্য বিশেষ বিবেচনায় রুট পারমিট দেখা হচ্ছে না। তবে সড়কে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কিনা তা দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও আমলে নিয়ে দেখা হবে।