পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব সারাদেশে করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি এবং রংপুরে পল্লী জনপদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব শুধু পদ্মাপাড়ে হবে না, সারা বাংলাদেশে উৎসবটা করবেন। আমি চাচ্ছি বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় উৎসব হোক। কারণ এটি আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল। বিশ্বের সব থেকে খরস্রোতা নদী আমাজন, তারপর হচ্ছে পদ্মা। আমরা এখানে সেতু করতে পারি এটি অনেকেরই ধারণা ছিল না।
‘এটি দ্বিতল সেতু—নিচ দিয়ে ট্রেন যাবে, উপর দিয়ে গাড়ি যাবে। এটি একটা কঠিন কাজ। পৃথিবীতে এ ধরনের কাজ বোধ হয় এটাই প্রথম। এখানে যেসব মেশিনারিজ ব্যবহার করা হয়, এটি বোধ হয় আর কোথাও হয়নি। এর যে বাধা ছিল সেটিও আপনারা জানেন, যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এখানে দুর্নীতি করতে বসিনি। নিজেদের ভাগ্য গড়তে বসিনি। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, দেশের উন্নয়ন করতে এসেছি।
দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় দেশবাসীর কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া যদি আমি না পেতাম এটি আমি করতে পারতাম না। আগামী ২৫ তারিখ এর উদ্বোধন হবে। আমি মনে করি, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের আর কোনো কষ্ট থাকবে না। শিল্পায়ন হবে, বিদ্যুতের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে আমি করেছি। রাস্তা-ঘাট, পুল ব্রিজ সবই আমি করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার মতো সেই নেতৃত্ব তো আর গড়ে উঠবে না আর এটি কেউ পারবেও না—সুতরাং আমি চেষ্টা করছি একেবারে পল্লী অঞ্চলে তৃণমূলে পড়ে থাকা মানুষগুলো, তাদের ভাগ্যটা কীভাবে পরিবর্তন করা যায়। উন্নয়নের যত কর্মসূচি আমরা নিয়েছি, সব আমরা গ্রামের মানুষকে লক্ষ রেখেই করেছি। যেন আমাদের উন্নয়নটা গ্রাম থেকে উঠে আসে।
গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া এই দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ তো সব সময় অবহেলিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের মানুষকে যাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় সে জন্য দারিদ্র্য বিমোচন কমপ্লেক্স আমরা প্রথমে কোটালিপাড়ায় গড়ে তুলি। সেটিই পর্যায়ক্রমিকভাবে আজ একাডেমিতে উন্নীত হয়েছে।
‘জাতির পিতা করেছিলেন বিসিক শিল্প নগরী। তার এই ধারণা থেকেই আমরা আরও বড় আকারে…আমাদের দেশে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প সব চেয়ে বেশি কার্যকর, এটা দারিদ্র্য বিমোচনে সব থেকে বেশি কার্যকর। একটা বড় শিল্প হলে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রয়োজন হয়। এটার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী স্তরে আমরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি। ফসলের জমি নষ্ট করে কেউ কল-কারখানা করতে পারবে না। করলে আমরা বিদ্যুৎ-গ্যাস কোনো কিছুই দেবো না।