পরীক্ষামূলকভাবে একটি বিশেষ ট্রেন পদ্মা সেতু অতিক্রম করে মাওয়া পৌঁছেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬৬২১ নম্বর ইঞ্জিন পরিচালিত ৫টি বগি বিশিষ্ট ট্রেনটি ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ৪২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে মাওয়া প্রান্তে পৌঁছে। ট্রেনটি ঠিক ২টা ৪৮ মিনিটে পদ্মা সেতুর রেল ট্র্যাকে প্রবেশ করে এবং ৩টা ৩ মিনিটে সেতু অতিক্রম করে। ট্রেনটি আবার ভাঙ্গা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ভাঙ্গা থেকে সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত পরীক্ষামূলক গ্যাংকার ট্রেন চললেও মূল সেতুতে ট্রেন আজই প্রথম উঠলো। এর মাধ্যমে মাদারীপুর, শরীয়তপুর এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রেন চললো। ট্রেনের গতি ছিলে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার।
দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতুর নিচে রেল এবং উপরে গাড়ি চলাচলের জন্য নির্ধারিত। গত বছর ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক অংশের উদ্বোধন করেন। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আব্দুস সোবহান গোলাপসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা প্রথম যাত্রী হিসেবে পরীক্ষামূলক ট্রেনে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া আসেন।
এর আগে বেলা ১টার দিকে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে রেলমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালু হওয়ার কথা রয়েছে।