অবশেষে প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের রাজা ৩য় চার্লসের কাচে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসায় ৪৫ দিন পর তিনি পদত্যাগ করলেন। এটি ব্রিটেনে কোনো পধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে কম সময় ক্ষমতায় থাকায় রেকর্ড। তবে নতুন কোনো উত্তরসূরী না আসা পর্যন্ত লিজ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আনুষ্ঠানিকভাবেও পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিজ ট্রাস।
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারায় সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ট্রাস।
লিজ ট্রাস বলেন, তিনি এরইমধ্যে রাজা চার্লসকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। কয়েক ডজন সাংবাদিকের সামনে দেওয়া বক্তব্যে লিজ ট্রাস বলেন, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরাট এক অস্থিরতার সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসেছিলেন। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছেন, তা পূরণ করতে পারছেন না।
লিজ ট্রাস বলেছেন, তিনি আজই দলের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। সে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
এর আগে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সংক্ষিপ্ত বাজেট ঘোষণা করেন সে সময়ের অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেং। ওই বাজেটে কর ছাড়ের ছড়াছড়ি থাকায় বেশ বিতর্কের জন্ম দেয়। পুঁজিবাজারেও অস্থিরতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মার্কিন ডলারের বিপরীতে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ড মূল্যমান হারিয়ে কয়েক দশকের সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে যায়। এরপরেই গত শুক্রবার ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে লিজ ট্রাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাওয়াসি। এর পর দায়িত্ব ছাড়ার কথা জানান।
এই রেশ কাটতে না কাটতেই দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন। এরপরেই আজ লিজ পদত্যাগ করলেন।