The news is by your side.

পত্রিকা খুললে শুধু লুটের খবর, কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই: মির্জা ফখরুল

0 48

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ পত্রিকা খুললে শুধু লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা।

তিনি বলেন, সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে। রিজার্ভের ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শেয়ার বাজারে রথি-মহারথিরা লুট করছে। তারা এতো বড় মানুষ তাদের পাশে যাওয়া যায় না। কেউ দরবেশ, কেউ মাফিয়া, কেউ হুজুর। আজকে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।

রোববার (২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মাথাপিছু ঋণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শর্তে যে সব ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সুস্থ মানুষ ও দেশপ্রেম থাকলে এগুলো করতে পারতো না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশপ্রেমিক নয়, ওরা বর্গী। সেজন্যই দেশের টাকা লুটে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। যখন দেখবে ক্ষমতায় আর থাকতে পারবে না, তখন বিদেশে চলে যাবে।

বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, আমার মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি। এখন সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। এই সরকারকে পরাজিত করা সময়ের ব্যাপার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনে হয় তারা কী যেন হয়ে গেছে। আজকে তাদের বাহিনীর প্রধান (বেনজীর আহমেদ) কোথায়? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- তিনি নাকি বেনজীর সম্পর্কে জানেন না। রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই।

তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ বড় বড় প্রকল্পের নামে যেসব চুক্তি করা হয়েছে। তা কোনো দেশপ্রেমিক লোক করতে পারে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি জানলে আশ্চর্য হতে হবে। তিনি দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

এ সময় সরকারের পাশাপাশি জামায়াতের রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ।

তিনি বলেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সেজন্যই বলি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আপনারা গবেষণা করুন। থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করুন।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাত্রশিবিরের স্টাডি সেল আছে। তাদের প্রত্যেককে লেখাপড়া করতে হয়। নিজেরা বই-পত্রিকা প্রকাশ করে। জ্ঞানের চর্চা ছাড়া সফল হতে পারবেন না।

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর ভাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম, ডা. আবু নাসের প্রমুখ।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.