কোনো আকার ইঙ্গিত না, প্রেসিডেন্ট এরদোগান সরাসরি বলেছেন, ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোতে আবেদন করলে সেটিতে ভেটো দেবে তুরস্ক।
সোমবার তুরস্কতে একটি সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, সেসব দেশকে যারা তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টিকে আমরা ‘হ্যাঁ’ বলব না।
সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর কারণে ২০১৯ সালে তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সুইডেন। সে বিষয়টির কথাই উল্লেখ করেছেন এরদোগান।
তাছাড়া এ দুটি দেশকে জঙ্গীদের আতুর ঘর হিসেবেও উল্লেখ করেন তার্কিস প্রেসিডেন্ট। তুরস্কের বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৫ বছরে জঙ্গিদের তুলে দেওয়ার তুরস্কের ৩৩টি আবেদনে কোনো সাড়া দেয়নি সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
তুরস্ক পিকেকে সন্ত্রাসী সংগঠন ও এটির মিত্রদের বেশ কয়েকজনকে তাদের হাতে তুলে দিতে আবেদন জানিয়েছে। তুরস্কের দাবি, পিকেকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ২০১৬ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরদোগানকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল।
তুরস্ক বিশেষ করে সুইডেনকে এ ক্ষেত্রে দায়ি করে যে তারা পিকেকে সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে। এদিকে তুরস্ককে বোঝাতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নিজেদের প্রতিনিধিদের তুরস্কে পাঠাতে চেয়েছিল।
এরদোগান বলেছেন, তাদের তুরস্কে আসার প্রয়োজন নেই। এদিকে তুরস্কের এমন বাধ সাধার বিষয়টি থাকবে না বলে জানিয়েছেন ন্যাটোর সাবেক ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল স্টেফানি বাবস্ট।
তিনি বলেছেন, তুরস্ক এ ইস্যুটি সামনে এনে সুবিধা আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যার মধ্যে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্র কেনার বিষয়টি।