খেলার মাঠে ‘গুড বয়’ মেজাজে থাকেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। মাঠে কখনো বিবাদে জড়ানো বা খুব একটা আক্রমনাত্মক হতে দেখা যায় না। এটা তার স্বভাবেই নেই। এর আগেও আর্জেন্টিনার বহু ম্যাচে মেসি যখন হেরে ছিটকে গিয়েছিলেন মাথা ছিল নিচু। কিন্তু এবারের আর্জেন্টিনার মতো মেসিও কেমন যেন বদলে গিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে তেড়ে গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডস কোচ লুইস ফন গালের দিকে। তিনি সেখানে হাত দিয়ে অঙ্গিভঙ্গি করে ডাচ কোচকে কিছু বলেন। ফন গলকে সেই সময় স্তম্ভিত দেখা যায়। মেসি ফন গালের দিকে যেরকম অঙ্গিভঙ্গি করছিলেন, তা দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি বলতে চাইছেন, ‘বেশি কথা বলো না।’ এরপর মেসিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান একজন। তবে মেসির এই ‘জবাব’ পেয়ে স্তম্ভিত দেখায় নেদারল্যান্ডস কোচ। ‘গুডবয়’ মেসির থেকে এই ধরনের আচরণ হয়ত আশা করেননি ডাচ কোচ।
মেসি এদিন বলেন, ‘ম্যাচের আগে ফন গলের মন্তব্যে আমি অসম্মানিত বোধ করি। কিছু ডাচ খেলোয়াড় খেলা চলাকালীন খুব বেশি কথা বলছিলেন।’
ম্যাচের আগে ডাচ কোচ লুই ফন গাল মেসিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘বল যখন আর্জেন্টিনার কাছে থাকবে না, তখন তো মেসির কোনও কাজ নেই।’ ডাচ কোচের এই মন্তব্যে স্বভাবতই অপমানিত বোধ করেছিলেন মেসি। এর জবাবে মেসি নিজের গোল ডাচ ডাগআউটের সামনেই উদযাপন করেন। পরে ম্যাচ শেষে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে সরাসরি ফন গলের কাছেই চলে যান মেসি।
ডাচ কোচের কৌশলের সমালোচনা করে ৩৫ বর্ষী ফুটবলার মেসি বলেন, ফন গাল দাবি করেন যে তিনি ভালো ফুটবল খেলান। কিন্তু তিনি বক্সে স্ট্রাইকারদের নিয়ে যান এবং লম্বা বলের মাধ্যমে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। আমরা এই ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে যোগ্য দল ছিলাম এবং এটাই হয়েছে।’
টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দিয়েছেন ডাচদের প্রথম দুটি শট। ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠেও ছিল নেদারল্যান্ডস কোচের সমালোচনা। মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি ফন গালকে বলতে শুনেছি যে আমরা টাইব্রেকারে সুবিধা পেয়েছি। যদি আমরা টাইব্রেকারে যাই তাহলে আমরা জিতব। আমি মনে করি তার মুখ বন্ধ রাখা দরকার।’