বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নূপুর শর্মার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ মন্তব্য করেন।
মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনার জেরে নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা দেশের কাছে ওই মন্তব্যের জন্য নূপুরের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
আদালত বলেছেন, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দেশে যা ঘটেছে তার জন্য একা নূপুর শর্মাই দায়ী।
একটি টেলিভিশন বিতর্কে মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কুরুচিকর কথা বলেন বিজেপির সাবেক সর্বভারতীয় এ মুখপাত্র। এর জেরে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেছেন, আমরা ওই শোটি দেখেছি। তিনি যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন এবং পরে বলেছিলেন, তিনি একজন আইনজীবী, এটি লজ্জাজনক। তার উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
সুপ্রিম কোর্ট বলেন, তার মন্তব্য তার ‘অবাধ্য এবং অহংকারী চরিত্রকে’ দেখিয়েছে। তিনি যদি কোনো দলের মুখপাত্র হন, তিনি মনে করেন, তার পেছনে ক্ষমতার সমর্থন রয়েছে। আর রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে তিনি কি যে কোনো ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন?
তখন নূপুরের আইনজীবী বলেন, তিনি শুধু টেলিভিশন বিতর্কের উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেন, তাহলে উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত ছিল।
তখন আইনজীবী নাগরিকদের কথা বলার অধিকারের বিষয় সামনে আনেন। জবাবে বিচারক ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলার অধিকার সবার রয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে ঘাসের বেড়ে উঠার অধিকার রয়েছে এবং গাধার অধিকার রয়েছে তা খাওয়ার।
সুপ্রিম কোর্ট বলেন, তাকে সাংবাদিকদের কাতারে বসানো যাবে না। যখন তিনি টিভি বিতর্কে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং সমাজের কাঠামোতে এর প্রভাব এবং পরিণতির কথা চিন্তা না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেন।