নীলকুঠি যৌনপল্লির দরজায় একজন মন্টু পাইলট। তার কোলে অজ্ঞান-নিস্তেজ এক নারী। সৌরভ বললেন, শ্মশানের রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে এখানে চলে এলাম।
একটু খেয়াল করলে বোঝা যায়, ওই নারী আসলে রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী কলকাতার বহুল আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট ২’তে কাজ করেছেন।
আড়াই মিনিটের এই ট্রেলারে চমকে দিয়েছেন মিথিলা ও সৌরভ। মন্টু চরিত্রে আগের মতোই অনবদ্য অভিনয় করেছেন সৌরভ। কখনো এক সাধারণ পিতার ভূমিকায়, যে নিজের মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসে। আবার কখনো যৌনপল্লির দুর্ধর্ষ দালাল হয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন।
মিথিলা ঘটনাক্রমে এসে পৌঁছান নীলকুঠি যৌনপল্লিতে। তাকে জোর করে সেখানে আটকে রাখা হয়। শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। এরপর সেখানেই নিজেকে মানিয়ে
নেওয়ার চেষ্টা করেন মিথিলা। নীলকুঠির গল্পে নতুন এই মোড় শেষ পর্যন্ত কোনদিকে যায়, তা অবশ্য এখনই বোঝা যায়নি। পুরো সিরিজটি দেখার মাধ্যমে পরিষ্কার হবে।
প্রথম সিজনের মতো ‘মন্টু পাইলট’-এর দ্বিতীয় সিজনও নির্মাণ করেছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। প্রথম সিজনে সৌরভের বিপরীতে ছিলেন শোলাঙ্কি রায়। এবার সৌরভের মুখোমুখি মিথিলা। কতটা জমেছে তাদের রসায়ন, তা দেখার অপেক্ষায় দর্শক।