ফৌজদারি মামলার সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। সেইসঙ্গে ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছে যে, পরবর্তী সময় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করলে তাকে জেলে যেতে হতে পারে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি জুয়ান মারচান জরিমানার এ আদেশ দেন। তবে ট্রাম্পের দাবি, তিনি কেবল তার বিরুদ্ধে আনীত রাজনৈতিক আক্রমণের জবাব দিয়েছেন।
মুখ বন্ধ রাখার জন্য পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুস দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলছিল ওই আদালতে। বিচারক হুয়ান মারচেন ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্পকে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করেন। আদালতের ওই আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক বা আদালতের কর্মী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনকে আক্রমণ না করেন।
৯ বার এ আদেশ লঙ্ঘনের জন্য ট্রাম্পকে জরিমানা করেন বিচারক। প্রতিবারের জন্য তাকে এক হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হবে। এ ছাড়া ট্রাম্পকে আজ বিকালের মধ্যে তার নিজের তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সাতটি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওয়েবসাইট থেকে দুটি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ট্রাম্পই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প ২০২৪ সালের সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনি ২০২০ সালে যার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন সেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের মুখোমুখি হবেন।