প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়। এখানে কেউ পেশি শক্তি দেখিয়ে ও সহিংসতা করে জয় লাভ করবেন এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
‘বর্তমান কমিশনের অধীনে কুমিল্লা সিটির নির্বাচন একটা মডেল হবে। এ জন্য যা যা করার সবই করা হচ্ছে। যেকোনো সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
রোববার দুপুরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, ভোটারদের মধ্যে ইভিএম বিড়ম্বনা দূর করতে ব্যবস্থা থাকবে। এনআইডি কিংবা অন্য উপায়ে ভোটার শনাক্ত নিশ্চিত হওয়ার পর আঙুলের ছাপ মেচিং না হলেও ওই ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
ভোটার উপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উন্নত বিশ্বে অনেক দেশের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি যখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ, এ সময় আমাদের দেশে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশও উপস্থিত হয়ে যায়।
মিথ্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার বিষয়ে তিনি বলেন, নিজের নির্বাচনী অফিস নিজে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে তদন্ত করে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান। সভাপতিত্ব করেন কমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনজুর আলম।
অনুষ্ঠানে মেয়র, সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আতিক উল্লাহ খোকন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, নিজাম উদ্দিন কায়সার, কামরুল আহসান বাবুল ও ইসলামী আন্দেলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম।