সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনারা একজায়গায় ভোট দিলে ভোট অন্য জায়গায় যাবে, আমি কীভাবে নির্বাচন করব। অনেকেই আমাকে উকিল আব্দুস সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি সেই সুযোগ কাউকে দিতে চাই না। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করার পরিবেশ নেই।’ এ সময় তিনি ইভিএম পদ্ধতিকে ‘ভোট ডাকাতির আয়োজন’ বলে উল্লেখ করেন।
শনিবার সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রি মাঠে নাগরিক সমাবেশে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের রাজনীতি করি। আমার জীবন থাকতে দলের ক্ষতি হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। তাই আমি সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আমার মা ও শ্রদ্ধেয় আলেম-উলামাদের পরার্মশে এ নির্বাচন বর্জন করলাম। আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকব। অনেকে আমাকে বাসায় গিয়ে বলেছেন আমাদের বাঁচান। আমি যখন মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলাম, তখন আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি সেই সব কথা ভুলতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন না করলেও যেকোনো আন্দোলন ও সমস্যায় নগরবাসীর পাশে থাকব।’
সমাবেশের আগে মেয়র বাসা থেকে হেঁটে হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে যান। মাজার জেয়ারত শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রেজিস্ট্রি মাঠে পৌঁছান।
বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও গত এক মাস আরিফুল হক চৌধুরী তার প্রার্থিতার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন।
১৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা জানানোর কথা থাকলেও তিনি তা জানাননি। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় ছিলেন নগরবাসী। অবশেষে শনিবার নাগরিক সভাবেশে আরিফুল হক সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিলেন।