দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। গত রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে জয়ী হতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে কিছুটা মন খারাপ এই অভিনেত্রীর। তবে এই অবস্থার জন্য তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এমনটাই জানিয়েছেন মাহি।
মাহি বলেন, ‘সবাই নিশ্চয়ই ভাবছেন আমার প্রচন্ড মন খারাপ, হ্যাঁ কিছুটা তো মন খারাপ হবেই। নির্বাচন তো একটা গেইম। আর সেই গেইমে আমি হেরে গিয়েছি।
তবে আমি যেকোনো অবস্থায় নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করে রাখি। আমি এই অবস্থার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’
নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন জানিয়ে মাহি বলেন, ‘আমার ইশতিহারে যে কথাগুলো বলেছিলাম নারীদের প্রত্যেকটা ঘর হবে একেকটা কর্মসংস্থান। তরুণরা হবে উদ্যোক্তা।
এটা আমি বড় পরিসরে কতটা করতে পারব ঠিক জানি না। কারণ কর্মসংস্থান করার ব্যাপারে সরকারিভাবে যে উদ্যোগ নেওয়া হয় সেটা ব্যক্তিগতভাবে একটু চ্যালেঞ্জিং। তবু আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে করার চেষ্টা করব।’
জয়ী ওমর ফারুক চৌধুরীর উদ্দেশ্য মাহি বলেন, ‘তানোর গোদাগাড়ী বাসীর রাস্তার যে বেহাল দশা, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট এত উন্নত সেখানে আমার এই এলাকায় এখনো গরুর গাড়ি চলার মতো অবস্থা। বর্ষার দিনে হাঁটু পরিমাণ কাদা হয়।
বরেন্দ্রভূমিতে যে পানির সমস্যা এই দুইটা জিনিসের প্রতি নজর দেওয়ার অনুরোধ করব নতুন যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তাঁকে। ১৫ বছর ধরে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেননি তা যেন এই পাঁচ বছরে করেন।’
মাহি আরো বলেন, ‘আমি কিন্তু মাঠে আছি। আগামী পাঁচ বছর পর আবারও নির্বাচনের মাঠে দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।’
প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে মাহি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবে সেসব কর্মীদের কোনো রকম হয়রানি যদি আপনারা করেন তাহলে মনে রাখবেন আমি কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীদের মতো এত দুর্বল না। আমি মানসিকভাবে যতটা শক্তিশালী, আমার কর্মীদের যদি একটু অপমানও আপনারা করেন সেটাও প্রতিহত করার জন্য আমি লড়ব। আমি তাঁদের জন্য জানও দিয়ে দিতে পারি।’
মাহি বলেন, ‘নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু হয়েছে। যে যার যোগ্যতা অনুযায়ী ভোট পেয়েছে। যদিও আমি কম ভোট পেয়েছি। কিন্তু মেয়ে মানুষ হয়ে যে আমি নির্বাচন করেছি এটাই সকলের প্রশংসা করা উচিত। প্রশাসনও খুব সাহায্য করেছে।’