দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার। আগামীকাল সোমবার হবে প্রতীক বরাদ্দ। এর পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
৭ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তপশিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর বাছাই, ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল ও শুনানি, ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য রয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সংসদের ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাছাইয়ে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বৈধ ঘোষণা করা হয় ১ হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা। এর পর ছয় দিনে নির্বাচন কমিশনে ৫৬০টি আপিল দাখিল হয়। এর মধ্যে ৩৫টি ছিল মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে। কমিশনে আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন। বাছাইয়ে বৈধ হওয়ার পরও প্রতিপক্ষের আপিলে প্রার্থিতা হারান পাঁচজন। আপিল নিষ্পত্তি শেষে সব মিলিয়ে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬০-এ। অবশ্য ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন। সেখান থেকেও প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ আছে।
বিএনপি ও তার মিত্ররা এবারের নির্বাচন বর্জন করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ১৪ দলের শরিক দলসহ ২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০ আসনের সব ক’টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বেশি।
নির্বাচনে জোটগত অংশগ্রহণ ও আসন সমঝোতার লক্ষ্যে ১৪ দলে শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আলোচনা চলছে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির সঙ্গেও। কয়েক দফার বৈঠক ও আলোচনা শেষে বেশ কিছু আসনে শরিক ও মিত্রদের ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।