বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের এবং পরের পরিস্থিতির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ইমন গিলমোর।
ইমন গিলমোর বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার। আমরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ নির্বাচনের আগে ও পরে মানবাধিকারসহ সব ধরণের পরিস্থিতি নজরে রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ জোট বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায়।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ইমন গিলমোর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল সফর শেষে ব্রাসেলসে রিপোর্ট পেশ করবে। সেটির ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের আলমের সঙ্গে বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে ইইউ’র এ প্রতিনিধি বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের আলমকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্বাচন কীভাবে হবে, আর কোনো দল অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কেননা, কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গিলমোর। তার সঙ্গে ছিলেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ( ইইএএস) রাজনৈতিক উপদেষ্টা ভিক্টর ভিলিক। বৈঠকে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস হোয়াইটলিসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।