রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়া কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করবে না, এমন ধারণার মানে এই নয় যে মস্কো আক্রমণ করলেও সেগুলো ব্যবহার করবে না। কারণ, আমাদের ভূখণ্ডে আক্রমণ আসন্ন হলে এই অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখা দেবে।’
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে পারমাণবিক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে সতর্ক করার কয়েকদিন পর প্রেসিডেন্ট পুতিন এ ঘোষণা দেন। কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘মার্কিন কৌশলে একতরফা পারমাণবিক হামলা করার উদাহরণ রয়েছে, নথিতে এটিকে একটি প্রতিরোধমূলক আঘাত হিসেবে উল্লেখ করা আছে। আমাদের এটি নেই। অন্যদিকে, আমরা আমাদের কৌশলে প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়টি রেখেছি।’
পুতিন জানান, এমনকি রাশিয়া যদি তার দিকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ হতে দেখে বিলম্ব না করে প্রতিশোধ নেয়ও, তবে তার অর্থ হবে, রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের পতন অনিবার্য। যেন ক্ষেপণাস্ত্র মাটিতে এসে এই পড়ল। মার্কিন নীতি নিরস্ত্রীকরণের সম্ভাবনাকে বাদ দেয় না। অথচ রাশিয়ার নীতি হলো, একেবারে নিরুপায় হয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসনের কর্মকর্তারা আগে জানিয়েছিলেন, যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরিণতি সম্পর্কে মস্কোকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারপরও তিনি একরকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে দূরে ছিলেন যে রাশিয়া সংঘাতের শুরুতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না।
পুতিন এসব মন্তব্য এমন একসময় করলেন, যখন রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে চলতে শীত এসে পড়েছে। এছাড়াও রাশিয়া পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, এই হামলার ফলে কিয়েভ, ওডেসাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে।