The news is by your side.

নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়

0 725

 

অপরাধীদের ধরতে গিয়ে নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে র‍্যাবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাবের সদর দপ্তরে র‍্যাবের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দরবারে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বিষয় সব সময় লক্ষ রাখতে হবে, যারা অন্যায় করবে সে যে-ই হোক, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এটাও দেখতে হবে যে অযথা কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। আইন প্রয়োগের সময় মানবাধিকার বিষয়টির প্রতি লক্ষ রেখেই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নীতি অবলম্বন করতে হবে।’

র‍্যাবের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে, জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যেহেতু সবাই এই দেশের সন্তান, তাই দেশের উন্নতি হলে, আর্থসামাজিক উন্নয়ন হলে এর সুফলটা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যরাই পাবে, দেশের মানুষই পাবে।

কয়েক দফায় বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, আবাসন সংকট সমাধান এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যানবাহনের সুবিধা বৃদ্ধিতে সরকারের উদ্যোগের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে আমরা যতটা স্বাবলম্বী হতে পারব, ততটাই আমরা সুযোগ-সুবিধা দিতে পারব। আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই সুন্দরভাবে যেন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেটাই আমরা চাই। এ জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাদের সেই কাজের সুবিধাটা আমরা করে দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‍্যাবের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। র‍্যাবের সদস্যরা দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে অবদান রেখেছে, আমি এটুকু বিশ্বাস করি যে দেশের মানুষেরও একটা আস্থা ও বিশ্বাস র‍্যাবের সদস্যদের প্রতি জন্মেছে। তাঁরা র‍্যাবকে যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখে।’

জঙ্গি দমনে র‍্যাবের সাফল্যের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ভবিষ্যতে আর কখনো এ দেশে যেন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।’ জঙ্গিবাদ সৃষ্টির পেছনে অতীতে কতিপয় রাজনৈতিক দলের মদদ থাকার প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, ‘এখানে দুর্ভাগ্য যে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল মদদ দিয়ে আসছে। যেমন গত নির্বাচনে তারা একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, সেখানে র‍্যাবের একটি সফল অভিযানের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের অফিস থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ ধরা পড়ে। আর এরপরেই আমরা দেখেছি তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন এ ধরনের মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’

অপরাধ প্রবণতা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতায় যুক্ত হওয়া প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে র‍্যাবের সদস্যদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অপরাধ যারা করবে অর্থাৎ অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা সেটাও যেমন আমাদের কাজ, তেমনি অপরাধের সঙ্গে কেউ যেন যুক্ত না হয় সেই ব্যবস্থাটাও আমাদের নিতে হবে। আর সেটা করতে হলে একটা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। আমি সবাইকে বলব, আপনারা সবাই এই বিষয়টার প্রতি দৃষ্টি দেবেন যেন কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে কেউ যুক্ত না হয়।’

ভিডিও লিংকেজের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন র‍্যাব ইউনিটের সদস্যরা অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে র‍্যাবের সাফল্য নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী কুর্মিটোলায় র‍্যাবের সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাঁকে র‍্যাবের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.