নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশু খাদ্য, বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান, নকল, ভেজাল ঔষধ পণ্যসহ গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ কঠোর শাস্তি প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ।
ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়োজিত সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২৪তম সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন ।
২৯ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও বীমা ব্যক্তিত্ব জনাব শেখ কবির হোসেন, এফবিসিসিআই এর সভাপতি জনাব জসিম উদ্দিন, কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি জনাব গোলাম রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জনাব সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সভাপতি জনাব ফরিদা ইয়াসমিন, বিএসটিআই এর মহাপরিচালক ড. নজরুল আনোয়ার, জনপ্রশাসনে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সরকারের সাবেক সচিব জনাব মোঃ আবদুল মালেক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব ফেরদৌস আহমেদ, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট মিসেস মনোয়ারা হাকিম আলী, এফবিসিসিআই এর পরিচালক মিসেস প্রীতি চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সভাটি সঞ্চালনা করেন পরিষদের সচিব ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
সভায় জানানো হয়, অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৭ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত সময়ে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাজার তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে ১৩৩২৪৯ টি প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডিত করে ৯২,৭৫,৭৫,৩৪২/- জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং একই সময়ে দাপ্তরিকভাবে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করে ৭৮০৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৫,৫০,৮৪,২০৮/- জরিমানা করা হয়। সভায় আরো জানানো হয় যে, দাপ্তরিকভাবে নিষ্পত্তিকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদায়কৃত জরিমানার ২৫%হিসেবে ৭৬৯৩ জন অভিযোগকারীকে ১,৩৫,২৫,৮০২/- প্রদান করা হয়।
সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ ভোক্তা-অধিকার বিষয়ে প্রচারণার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার, মিডিয়া কর্মীদের অংশগ্রহণে কর্মশালা আয়োজন এবং ঢাকাসহ জেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ী সংগঠন ও অন্যান্য অংশীজনদের অংশগ্রহণে গণশুনানী আয়োজনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।