সরকার রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে রাখতে শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি। অতিমুনাফালোভী এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কৌশলে এবারও অন্যান্যবারের মতো ফায়দা লুটছেন। অনেক ক্ষেত্রে গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করে তাঁরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের মুনাফা।
পবিত্র রমজানের সময় বিশ্বের অনেক দেশে পণ্যের দাম কমানো হয়।
আমাদের বাজারে দেখা যায় এর উল্টো চিত্র। এ সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাড়তি মুনাফার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
নতুন করে সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ উদ্যোগ নেয়। এসবের মধ্যে শুল্ক কমানো, খাদ্যপণ্য আমদানিতে যেন বিঘ্ন না ঘটে এ জন্য ব্যবসায়ীদের ঋণপত্র খোলা সহজ করে দেয়।
ব্যবসায়ীরা এসব সুবিধা নিলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি ও বাজার সূত্রে জানা যায়, গত রমজানে সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। বর্তমানে সেই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। ভালো মানের প্রতি কেজি খেজুর ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, এবার একই খেজুর বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়।
গত রমজানে চিনি প্রতি কেজি ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, সেই চিনি এবার বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। ছোলার দাম ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। পেঁয়াজ ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। আলু ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।