বিএনপি নিজেদের সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরাই আটকা পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেনআওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের চর্চা করে আসছে। তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা চায় শুধু ক্ষমতা। তারা ক্ষমতা চায় কিন্তু নির্বাচনে ভয় পায়। তাই তারা অনির্বাচিত সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। যারা জনগণকে শত্রু মনে করে, তারা কখনো জনগণের আস্থা পায় না। বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে তারা যে আন্দোলন করছে তাতে জনগণের মুক্তি তো মিলবেই না, বরং দেশকে দুর্বল করবে। বিদেশিদের আপন করতে গিয়ে দেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম করেছেন। আর এখন তারা বলছেন- ‘কোন দেশের ভিসা নীতিতে কি আছে, না আছে, দেখতে চাই না।’ আসলে বিএনপির সৃষ্ট ষড়যন্ত্রের জালে তারা নিজেরাই আটকে গেছেন। বিএনপির সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির অপতৎপরতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় তারা এখন উল্টো সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের আইন-আদালতের ওপর সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, এমনকি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে এমন হয় না।
তিনি বলেন, বিএনপি ভাড়াটিয়া সাইবার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপপ্রচারের অপকৌশল আরও তীব্র করেছে। দলটি জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চর্চা করে আসছে। তারা সত্যকে যেমন ভয় পায়, তেমনি দেশের জনগণ এবং সংবিধান ও আইন-আদালতকেও ভয় পায়।
রোববার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবসকে স্মরণ ও এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দী করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতাকেও।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।