নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিনস হলেন দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী।
পরবর্তী লেবার নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের নাম প্রকাশের পর প্রথমবারের মতো মিডিয়াকে দেওয়া এক বক্তব্যে ক্রিস হিপকিনস জানান, আর্ডার্নের পদত্যাগের পরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কে সেরা ব্যক্তি হবে তা নির্ধারণে ঐক্যমত্য অর্জনে তিনি দলের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি জানান, দল মনোনীত তিনিই একমাত্র প্রার্থী। তবে ককাস বৈঠকের পর পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থন না করা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে চান।
দলের সমর্থন পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী হতে আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকবে ক্রিসের জন্য। কারণ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেসিন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্নর জেনারেলের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন। এরপর গভর্নর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে ক্রিসকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
৪৪ বছর বয়সী ক্রিস হিপকিনস বর্তমানে দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লেবার পার্টি থেকে ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাঁকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। করোনা মোকাবিলায় তাঁর নেওয়া পদক্ষেপ দারুণ প্রশংসিত হয়।
গত বছরের মাঝামাঝিতে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্রিস হিপকিনস। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা, জনসেবা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পার্লামেন্টে দলীয় নেতার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।