কখনও মিষ্টি প্রেমিকা, কখনও মা, কখনও আবার খলনায়িকার চরিত্রেও পর্দায় ধরা দিয়েছেন কাজল। তবে কোনও ছবিতেই তাঁকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে বিশেষ দেখা যায়নি।
নিজের সেই ইমেজ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন কাজল। ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’(Lust Stories 2) সিরিজে ঘরোয়া গৃহবধূর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। কাজলের স্বামীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা কুমুদ মিশ্রকে। এছাড়াও এই সিরিজে অভিনয় করেছেন তামান্না ভাটিয়া, বিজয় বর্মা, তিলোত্তমা সোম, অমৃত সুভাষ, নীনা গুপ্তা, অঙ্গদ বেদী ও ম্রুণাল ঠাকুর।
কাজল বলেন যে এই অ্যান্থোলজিতে ‘যৌন লালসা’ বা ‘রতি সুখ’ টাইপের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে বেগ পেতে হয়েছে।
কাজল বলেন, ‘একটা সময় আমাদের সমাজ মেয়েদের যৌনতা বা যৌনসুখ বিষয়ে খোলামেলা কথা হত। যৌনশিক্ষা আমাদের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার একটা অংশ ছিল। পরে আমরা নিজেরাই এটা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু দিনের শেষে, এখন যেমন খাওয়াদাওয়া এবং পান করাকে সমাজ একপ্রকার স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছে তেমনি নারীদের রতি সুখকেও স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করা উচিত। এটা জীবনের একটা খুব স্বাভাবিক অংশ, এটা ছাড়া থাকাও সম্ভব নয়। এটাকে বন্ধ করার পরিবর্তে এটা নিয়ে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলা উচিত।’
সিনেমায় যৌনতা দেখানোর বিষয়ে কাজল বলেন, ‘আমাদের আগের প্রজন্মে পর্দায় যৌনতা দেখাতে দুটি গোলাপকে কাছাকাছি আনা হতো, পরক্ষণেই দেখা যেত নায়িকা অন্তঃসত্ত্বা।’ এই কথা বলতে বলতেই হেসে ফেলেন কাজল। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সিনেমা সমাজকে প্রতিফলিত করে।
আমার মনে হয় আমরা আরেক ধাপ এগিয়েছি, লাস্ট স্টোরিজের মতো কিছু বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মুহূর্তে সিনেমাগুলোতে সমাজের ছবিই উঠে আসছে। তথাকথিত প্রেমের গল্পে আজকাল কেউ বিশ্বাস করে না। কেউ মরতে চায় না, আমি নিশ্চিত। মানুষ আজকাল একাধিক বন্ধুকে বিশ্বাস করে। তাই আমরা এখন পর্যন্ত যত প্রেমের গল্প বলছি সেগুলো ভিন্নভাবে তৈরি হচ্ছে।’