নায়িকা তৃণা সাহা : সাফল্যের নেপথ্য গল্পটা অনেকেরই অজানা
অভিনয়ে আসার ইচ্ছা ছিল না- ইচ্ছা ছিল শিক্ষিকা হওয়ার
কলকাতা প্রতিনিধি
তৃণা সাহা । অন্যতম ব্যস্ত টেলি অভিনেত্রী, যদিও দর্শকদের কাছে তিনি গুনগুন নামে বেশি পরিচিত। স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘খড়কুটো’-তে তাঁর চরিত্রের নাম হয়েছে গুনগুন। তাই এই নামেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার দর্শকদের ঘরে ঘরে।
ব্যস্ততার মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। ভার্চুয়াল জগতেও নজরকাড়া ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে অভিনেত্রীর। সেইসাথে দিনের পর দিন সাফল্যের একের পর এক মাইলস্টোন পার করে এই মুহূর্ত জনপ্রিয়তার শিখরে রয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর পেশাদার জীবনে একের পর এক তৈরী হয়েছে মাইলস্টোন। ইতিমধ্যেই টলিপাড়ার দুই খ্যাতনামা পরিচালক অরিন্দম শীল এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সাথে সিনেমা করার প্রস্তাব পেয়েছেন অভিনেত্রী। কাজ করেছেন অরিন্দম শীলের সিনেমা ‘ইস্কাবনের বিবি’-তেও। স্টার জলসার পর্দায় আসন্ন ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’ এর মেন্টরের দায়িত্ব পেয়েও ইদানিং বেশ আলোচনায় রয়েছেন ছোট পর্দার গুনগুন।
আজকের এই সাফ্যল্য কিন্তু অভিনেত্রীর জীবনে একদিনে নেমে আসেনি। অন্যান্যদের মতোই একটা সময় তাকেও এই পেশায় টিকে থাকার জন্য করতে হয়েছিল কঠিন লড়াই। তাই অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে অভিনেত্রীর লড়াই করার পথটা কিন্তু একেবারেই মসৃণ ছিল না। এমনকি সে সময় নাকি অভিনয় করার জন্য বাড়িতে মা বাবার সাথে ঝগড়া পর্যন্ত হয়েছিল অভিনেত্রীর।
একবার রচনা বন্দোপাধ্যায়ের দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে মায়ের সাথে এসেই নিজের এই অজানা সিক্রেট শেয়ার করেছিলেন তৃণা। অভিনেত্রী জানান, অভিনয়ে আসার ইচ্ছা তার কোনোদিনই ছিল না- ইচ্ছা ছিল শিক্ষিকা হওয়ার। তাই এমবিএ, সিএস নিয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি বেশ কিছুদিন মোটা মাইনের চাকরিও করেছিলেন। কিন্তু পরে সব ছেড়ে দিয়ে তিনি ঠিক করেন অভিনয়ে আসবেন। একথা প্রথমে তাঁর মা বাবা মানতে চাননি। অভিনয় জগতে আসার প্রথম ৬ মাস পর কাজ পেয়েছিলেন তৃনা তারপর বাড়িতে সব ভুল বোঝাবুঝি ঠিক হয়ে গিয়েছিল নায়িকার।