ইলিয়াস কাঞ্চন।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার । নির্বাচনকে ঘিরে উচ্চ আদালত থেকে বৃহস্পতিবার তার নামে সমন আসে। কিন্তু সেটিতে তার নামের সঙ্গে ‘মোহাম্মদ’ থাকায় সেটি গ্রহণ করেননি তিনি।
শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট। তার আগ মুহূর্তে শিল্পী সমিতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অভিযোগ উঠেছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেকের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
সেই প্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর নির্বাচন কেন স্থগিত করা হবে না- এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।অভিনেতা মো. সোহেল খান ও মোহাম্মদ হোসাইন লিটনের পক্ষে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এই নোটিশ পাঠান। কিন্তু সেই নোটিশ গ্রহণ করেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
নোটিশ গ্রহণ না করায় বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে এই তিনজনের নামে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সমন জারি হয়। সমন নিয়ে আসেন উচ্চ আদালতের পেশকার এস এম শফিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তিনি শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সমন নিয়ে আসেন তিনি। সেখানে তিনি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে পাননি বলে জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনকে পেলেও সমনপত্রে তার নামে ‘মোহাম্মদ’ থাকায় সেটি গ্রহণ করেননি তিনি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ”আমি একজন পরিচিত অভিনেতা। আমাকে রাষ্ট্র কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়েছে। একবার একুশে পদকও দিয়েছে। আমার নাম ইলিয়াস কাঞ্চন, এই ‘মোহাম্মাদ ইলিয়াস কাঞ্চন’কে আমি চিনি না। তাই এটি আমার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।”