পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলমান অভ্যুত্থানের জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এ দাবি করেন।
মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যম এক্স এ পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। এই প্লাটফর্মটি আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল।
পোদোলিয়াক বলেন, এটি এখন একেবারেই পরিষ্কার যে নাইজারে তথাকথিত সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে রাশিয়া রয়েছে। এটি একটি আদর্শ রাশিয়ান কৌশল: মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া এবং সংঘর্ষকে প্রসারিত করা।
তিনি দাবি করেন, বৈশ্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং অস্থিতিশীলতা উসকে দেওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর শত শত নাগরিক নাইজার ছাড়তে শুরু করেছেন। গত সপ্তাহের অভ্যুত্থানের পর ফ্রান্স তার দেশের নাগরিকসহ ইউরোপীয়দের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ২৬২ জন ইউরোপীয় নাগরিক ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পৌঁছেছেন। খবর বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ফ্রান্স দেশটিতে তিনটি বিমান পাঠায় এবং এর মধ্যে একটি বিমানে করে ২৬২ জন ইউরোপীয় নাগরিক এরই মধ্যে প্যারিসে অবতরণ করেছেন। নাইজারে আনুমানিক ৬০০ ফরাসি নাগরিক এবং ১০০ জনেরও কম জার্মান নাগরিক রয়েছেন।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আফ্রিকার এ দেশটিতে মোট ৫০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জন ইতালীয় রয়েছেন রাজধানী নিয়ামেতে, যাদের অধিকাংশই সামরিক বাহিনীতে রয়েছেন। রয়টার্সের মতে, স্পেন ৭০ জনেরও বেশি স্প্যানিশ নাগরিককে আকাশপথে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য এখনই নাগরিকদের সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে না এবং নাইজারে তার নাগরিকদের বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।