নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর (আইএনএসটিসি) এবং উত্তর সাগর রুট ইউরেশিয়ায় মালবাহী পরিবহন বাড়াতে পূর্ববর্তী সমুদ্র রুটের একটি লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহনের গড় খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। কার্গো ট্রাফিকের পরিমাণ অনেক বাড়বে। ট্রানজিট সম্ভাবনা শক্তিশালী হবে এবং প্রকল্পের সদস্য দেশগুলোর বাজারে প্রবেশাধিকার প্রসারিত হবে।
২০২৪ সালে বড় আকারের লজিস্টিক প্রকল্প (উত্তর-দক্ষিণ) একটি নতুন উন্নয়ন পাবে, যা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে (রাশিয়া-ইসলামিক ওয়ার্ল্ড : কাজানফোরাম ২০২৩) আলোচনা করা হয়েছিল।
ইরান এরই মধ্যে রেশট শহরের মধ্য দিয়ে কাস্পিয়ান সাগর বন্দর অবকাঠামোর সঙ্গে দেশের রেল নেটওয়ার্কের সংযোগকারী চূড়ান্ত শাখা লাইনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করছে। সমান্তরালভাবে, উত্তর-দক্ষিণ করিডরের অংশ হিসেবে আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্য দিয়ে কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম ও পূর্ব স্থলপথ তৈরি করা হচ্ছে এবং গত বছর রাশিয়া ও ইরান পশ্চিমে শেষ রেলপথ সেকশন নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রেশট ও আস্তারা শহরের মধ্যে প্রকল্পের শাখা।
সাধারণভাবে উত্তর-দক্ষিণ করিডর কাজানফোরাম বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুসারে রাশিয়া ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপে পণ্যসম্ভারের দ্রুত ও নির্বিঘ্ন ট্রানজিট সরবরাহ করবে। উদাহরণস্বরূপ, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ভারতের মুম্বাই পর্যন্ত, উত্তর-দক্ষিণ করিডর ধরে সুয়েজ খালের মাধ্যমে সমুদ্রপথে ৩০ থেকে ৪৫ দিনের পরিবতে ১০ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। রাশিয়া ২০৩০ সাল পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ করিডরের উন্নয়নে ২৮০ বিলিয়ন রুবল বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করিডরের ক্ষমতা প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন টনেরও বেশি কার্গো বৃদ্ধি করবে এবং প্রকল্পে বিনিয়োগ প্রচুর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বহন করবে।
যৌথ লজিস্টিক টাস্কের জন্য আজারবাইজান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইরান, ভারত, ইরাক, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান একত্রিত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোও উত্তর-দক্ষিণ করিডরে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। উত্তর সাগর রুটসহ মহাদেশে পণ্যের পরিবহন ত্বরান্বিত করতে মে মাসে পরবর্তী কাজান ফোরামে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার দেশগুলোর অংশগ্রহণে আলোচনা করা হবে।