রাশিয়ার শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দেশটির বেসরকারি আধা-সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ভিডিওটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এখন আফ্রিকায় আছেন।
সোমবার ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রিগোজিনকে যুদ্ধের পোশাকে দেখা যায়। খবর বিবিসির।
প্রিগোশিন সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় বলেন, ভাগনার সব মহাদেশে রাশিয়ার গৌরব বাড়াতে অবদান রেখেছে। এখন আফ্রিকার মানুষকে আরও বেশি মুক্ত ও খুশি করতে এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করব। আমরা ইসলামিক স্টেট, আল-কায়েদাসহ সব দস্যুর জীবনকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব।
তিনি বলেন, ভাগনার গ্রুপ সেনা নিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে যাঁরা এই সেনা সরবরাহকারী গ্রুপে যুক্ত হতে চান, তাঁদের যোগাযোগ করার জন্য ভিডিওতে একটি টেলিফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আফ্রিকার কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন প্রিগোশিন। তিনি বলেন, এখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি। তবে সবকিছু আমাদের পছন্দমতো রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার মালি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে ওয়াগনার যোদ্ধাদের উপস্থিতি রয়েছে। জাতিসংঘের অভিযোগ, এসব দেশে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ওয়াগনারের সেনারা।
এর আগে গত মাসে আফ্রিকা-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে দেখা যায় প্রিগোজিনকে। গত জুনে রাশিয়ায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি ব্যর্থ হয়।
২০১৪ সালে রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রতিষ্ঠা করেন পুতিনের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ প্রিগোজিন। রুশ এ ধনী ব্যবসায়ী ‘পুতিনের বাবুর্চি’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল এই বাহিনী। তবে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় পুতিন প্রশাসন।