অভিনেত্রী সোনালি ফোগতের আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে। প্রাথমিক অনুমান ছিল, গোয়া সফরে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ময়নাতদন্তের পর তাঁর শরীর জুড়ে ক্ষতচিহ্ন দেখে বোঝা গিয়েছে, ভোঁতা কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল। যদিও পরিবারের দাবি, খাবারে বিষ মিশিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীকে। এর জন্য তাঁরা দায়ী করতে চেয়েছেন সোনালির দুই সহকর্মীকেই। সুধীর সভগন ও সুখবিন্দর নামের সেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনাকে দীর্ঘ দিনের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্রের ফলশ্রুতি হিসাবেই দেখছে সোনালির পরিবার। যার আভাস পাওয়া গিয়েছিল সোনালির শেষ ফোনে।
বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীর ভাই রিঙ্কু জানান, সোনালিকে গোয়াতে নিয়ে যাওয়াও চক্রান্তেরই অংশ। কারণ, তাঁর শ্যুটিংয়ের দিন নির্ধারিত ছিল ২৪ অগস্ট। আর এ দিকে হোটেলের ঘর নেওয়া হয়েছিল ২১ এবং ২২ তারিখের জন্য। এমনটা কেন হল, প্রশ্ন তুলছেন তিনি। তা ছাড়া গোয়ার সেন্ট অ্যান্টনি হাসপাতাল, যেখানে সোনালিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেও জানানো হয়েছে অভিনেত্রীর আগেই মৃত্যু হয়েছিল।
মৃত্যুর আগের দিন বাড়ির সঙ্গে কথাও বলেছিলেন সোনালি। জানান, খাবার খেয়ে অস্বস্তি হচ্ছে। তার পর আর যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। এতেই সন্দেহ গাঢ় হচ্ছে সোনালির পরিবারের।