প্রাচীন ভারতের মহাকাব্য মহাভারতের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র দ্রৌপদী। তিনি ছিলেন অনিন্দ্য সুন্দরী। মানবীর শরীরে যাকে বলা যেত সাক্ষাৎ দেবী! ঐতিহাসিক এই চরিত্রে বড় পর্দায় এবার হাজির হচ্ছেন দীপিকা পাড়ুকোন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নতুন এই কাজের সুখবর দেন তিনি।
প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করতে চলেছেন বলিউডের সিনেমা নির্মাতা মধু মন্টেনা। যে ছবি নিয়ে আলোচনা গত কয়েক বছর ধরেই। সেই আকাঙ্ক্ষিত ‘মহাভারত’ মহাকাব্যকে সেলুলয়েডে রূপান্তরের ঘোষণা দিলেন দীপিকা । আর তাতে দ্রৌপদীকে পর্দায় রূপ দেবেন দীপিকা নিজেই।
বিশাল ক্যানভাসে নাম চূড়ান্ত না হওয়া ছবিটি প্রযোজনাও করবেন ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা। এটি দুই কিংবা তিন ভাগে তৈরি হবে। প্রথম পর্ব মুক্তি পাবে ২০২১ সালের দিওয়ালিতে।
মধু মেহেনতা বলেন, এই সময়ে দীপিকা শুধুমাত্র বড় অভিনেত্রী নন, তিনি এমন একজন যিনি অভিনয়ের নির্দিষ্ট গণ্ডির সীমানা পেরিয়েছেন। তিনি যদি না থকতেন তাহলে আমি এই ছবিটি নির্মাণের কথা ভাবতাম না।
দ্রৌপদী চরিত্র সম্পর্কে দীপিকা বলেন, চরিত্রটি শুধু আকর্ষণীয় নয়। এটির তাৎপর্য অনেক। মহাভারতকে তার পৌরাণিক কাহিনি ও সামাজিক–সংস্কৃতির প্রভাবের জন্য জানে মানুষ। এই মহাকাব্য থেকে জীবন দর্শনের নানা পাঠ নিই। তবে যেভাবে মহাভারতের গল্পের সঙ্গে আমরা পরিচিত সেখানে বদল আনা হচ্ছে। এই নতুন দৃষ্টিকোণ আকর্ষণীয়ই নয়, তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
মধু মান্টেনা জোর দিয়ে বললেন, ‘মহাভারত সব ভারতীয়র জানা। একই গল্প ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র দ্রৌপদীর দৃষ্টিকোণ থেকে বলা পুরোপুরি নতুন ব্যাপার।’
মধু মান্টেনা উল্লেখ করেন, ‘দীপিকা যোগ দিয়েছেন বলেই বড় পরিসরে ছবিটি নির্মাণের সাহস এসেছে। তাকে না পেলে আমরা কাজটি মনের মতো ক্যানভাসে সাজাতে পারতাম না।’
দ্রৌপদীর স্বামী অর্জুন কে হবেন তা এখনও জানা যায়নি। একইভাবে পরিচালকের নামও জানানো হবে কিছুদিন পর।
এদিকে প্রযোজক হিসেবে দীপিকার প্রথম ছবি ‘ছাপ্পাক’ প্রেক্ষাগৃহে আসবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। মেঘনা গুলজারের পরিচালনায় এতে এসিড সন্ত্রাসের শিকার মালতি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
এছাড়া ভারতের প্রথমবার বিশ্বকাপ জয় অবলম্বনে নির্মিত দীপিকার ‘এইটি থ্রি’ মুক্তি পাবে আগামী বছর। এতে তাকে দেখা যাবে সাবেক ক্রিকেটার কপিল দেবের স্ত্রী রোমি দেবের ভূমিকায়। আর কপিল চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকার স্বামী রণবীর।