পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলি জারদারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট। খবর পিটিআইয়ের।
শনিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে জারদারি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই পাকিস্তানের প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি যিনি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করবেন। দেশটি পরিচালনায় সেনাবাহিনী সব সময় ভূমিকা পালন করে আসছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত সরাসরি অনুষ্ঠানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিচারপতি আমির ফারুক জারদারিকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
পার্লামেন্টের এক বিবৃতি অনুসারে, জারদারি পেয়েছেন ৪১১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের দলের মনোনীত প্রার্থী মেহমুদ খান আছাকজাই। তিনি পেয়েছেন ১৮১ ভোট।
পাকিস্তানে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ও উচ্চ কক্ষ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
দেশটির সাবেক ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী জারদারি। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় বেনজির নিহত হয়েছিলেন। এরপর রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন তিনি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নিয়ন্ত্রণ নেন জারদারি।
২০০৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব পালনকালে ২০১১ সালে মার্কিন স্পেশাল ফোর্স পাকিস্তানে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে পায় এবং হত্যা করে।
নব্বই দশক থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতির অভিযোগে ১১ কারাগারে ছিলেন। যদিও তা আদালতে কখনও প্রমাণিত হয়নি। জারদারি ও তার দল দাবি করে আসছে, সেনাবাহিনীর সমর্থিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। যদিও সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ করেছে।