জান্নাতুল ফেরদৌস
ভবিষ্যতে গাজ়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে লেবাননে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘‘লেবাননে আর একটি গাজ়া-পরিস্থিতির অভিঘাত বিশ্বের পক্ষে সামলানো কঠিন হবে।’’
লেবাননের ইরানপন্থী সশস্ত্র শিয়া সংগঠন হিজ়বুল্লার প্রধান হাসান নাসারুল্লা চলতি সপ্তাহে হুমকি দেন, ইজ়রায়েলকে মদত দিলে ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে হামলা চালাবে তাঁর বাহিনী। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এর পর নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ইজরায়েল লেবানন সীমান্তে। ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিজবুল্লা প্রধানের কড়া সমালোচনা করেছেন।
সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে গেলে ইজ়রায়েল বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আমেরিকায় সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিরক্ষা বিশারদদের একাংশের মতামত তুলে ধরে তারা জানিয়েছে, আয়রন ডোম-সহ ইজ়রায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলিতে যত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তার চেয়ে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের সংখ্যা বেশি। সে কারণে তাদের হামলা পুরোপুরি ঠেকানো ইজ়রায়েলি সেনার এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলির পক্ষে সম্ভব না–ও হতে পারে।
স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চেয়ে লেবাননের হিজবুল্লার যোদ্ধার সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি।
অস্ত্রসম্ভারেও অনেক এগিয়ে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠীটি। নানা ক্যালিবার এবং পাল্লার রকেটের পাশাপাশি ইরানের মদতপুষ্ট এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে ‘গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্রও! রয়েছে শক্তিশালী ড্রোন।
পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের সামরিক প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি পুরনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজও সেরে ফেলেছে হিজবুল্লা। ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাধলে গোটা পশ্চিম এশিয়া এমনকি, ইউরোপেও তার আঁচ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের।