আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের তত্ত্বাবধানে করেছেন। এরা যেন আওয়ামী লীগের কোনো পদে আসতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই তালিকায় দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে।
আজ সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে উড়ালসড়ক নির্মাণকাজের পরিদর্শনে এসে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা ভালো মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, তারা দলের নেতৃত্বে আসতে পারে। সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে যারা আসে, চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত ভূমিদস্যু, যাদের ইমেজ খারাপ, যাদের রাজনীতি জনগণের কাছে খারাপ, এই ধরনের অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রী নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছেন এবং তাঁর কাছে এই তালিকা আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তালিকাটি প্রধানমন্ত্রী দলীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই তালিকা বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সারা দেশে এখন যে সম্মেলন হচ্ছে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন একটি নেতৃত্ব আসে। এই নেতৃত্বে যাতে অনুপ্রবেশকারী বা বিতর্কিত বা অপকর্মকারীরা আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেই তালিকায় দেড় হাজারের মতো নাম রয়েছে।
সড়কের শৃঙ্খলাটাই বড় সংকট বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সড়ক-মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটাই আমাদের লক্ষ্য। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। সড়ক পরিবহন আইনটাও সে জন্যই করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকও একটি প্রকল্প দিচ্ছে। এখন আমরা আটঘাট বেঁধেই নেমেছি। অবকাঠামোগত সমস্যাও কোথাও নেই। উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে। শৃঙ্খলা না থাকলে এই উন্নয়নের কোনো দাম নেই। তাই শৃঙ্খলাটা এখন বড় সংকট।’