The news is by your side.

দেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত: ওবায়দুল কাদের

0 125

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের দেশ গভীর ষড়যন্ত্রের মুখে। এ দেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত। যারা এদেশে জঙ্গিবাদের সূচনা করেছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও হিংস্র থাবা দৃশ্যমান। এ শত্রু আমাদের অভিন্ন শত্রু। ওরা স্বাধীনতার দুশমন, মুক্তিযুদ্ধের দুশমন। এদের হৃদয়ে বাংলাদেশ নেই।’

আজ বুধবার দুপুরে সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ বাঙালিয়ানার বিশ্বস্ত ঠিকানা শেখ হাসিনা। তিনিই আমাদের আসল ঠিকানা। আজ সময় এসেছে তার হাতকে শক্তিশালী করার। অপশক্তিকে প্রতিহত করতে আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের আদলে স্মার্ট জাদুঘর বানাবো। আমি একটি ভুল করেছি। আমি কুষ্টিয়ায় লালন শাহ্‌কে ইট পাথরের খাঁচায় বন্দি করেছি। এখন সেখানে গেলে আফসোস হয়। কেন করলাম! তখন যারা বিরোধিতা করেছিল— ঠিক করেছিল। কারণ লালনকে ইট পাথরের খাঁচায় মানায় না। সেই বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বিল্ডিং বানাতে গিয়ে।’

সংস্কৃতির আসল রূপ ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই ভূমি বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ভূমি। একে ইট পাথরে বন্দি করবেন না। বিল্ডিং করে কোনো লাভ নেই। বাঁশ দিয়ে আপনারা যে সেতু তৈরি করেছেন সেটাই এখানকার ঐতিহ্য। এটি বহাল রাখতে হবে। এর আদি রূপটাকে সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। এখানে এসে ইট পাথর বড় বড় বিল্ডিং দেখবো— সেটি ঠিক নয়। এখানে কাঁচা রাস্তাই মানায়।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের সমাবেশ সাংস্কৃতিক। সব জায়গায় রাজনীতি টেনে আনবেন না। এখানে স্লোগান পাল্টা স্লোগান কী আদৌ প্রয়োজন? আমি রাস্তায় বের হলে স্লোগান দিতে পারেন, তবে এখানে সে ধরনের স্লোগান মোটেও মানায় না। স্লোগান পাল্টা স্লোগান আমার মোটেও ভালো লাগেনি। আমি বিরক্ত হয়েছি। এটা আমাদের সংস্কৃতির আমানত। এটা আপনারা বজায় রাখবেন। এটা আমার অনুরোধ।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে এ জাদুঘরের উদ্বোধনে এসেছিলাম। এখানকার জামদানি বিখ্যাত। এদের আরও উৎসাহ দেওয়া দরকার। আন্তর্জাতিকভাবে এ শিল্প ও এখানকার পণ্য সামগ্রী তুলে ধরতে হবে। এখানকার পণ্য আমাদের জন্য লাভজনক। এ বিষয়গুলোতে নজর দিলে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নে উজ্জীবিত হয়ে এখানে এ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করেছিলেন সেটা সার্থক হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.