The news is by your side.

দেশের বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশও স্যাংশন দেবে: প্রধানমন্ত্রী

0 115

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে।বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই এবং লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশের অভ্যন্তর থেকে উদ্ভূত অনেক বাধা মোকাবিলা করে ক্ষমতায় রয়েছেন। জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে দলটি আবার ক্ষমতায় আসবে। যারা বলছেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন, তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, নির্বাচন বানচালের এই চেষ্টা দেশের বাইরে থেকেও করা উচিত নয়।’

সরকারের নির্বাচনী সংস্কারের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ এবং জাল ভোট দিয়ে বাক্স পূরণের কোনো সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এগুলো (নির্বাচনী ব্যবস্থা) সংস্কার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত আইনটি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করেনি। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। আওয়ামী লীগ সরকারই এটা করেছে। এটা মাথায় রাখতে হবে।’

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত অনেক নির্বাচন, উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। তাই আমরাও চাই নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হোক।’

নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াতের নানান কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব তথ্যগুলিই ভালো করে দেখান। যারা স্যাংশন দেয়, তারা ওটাও দেখবে, একতরফা দেখবে না। শুরুটা কারা করল, সেটা আগে দেখতে হবে। দেখে পরে তারা স্যাংশন দেক। আর যদি আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে থাকে, তাহলে আমার কিছু বলার নেই, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ম্যারিয়ট মার্কি হোটেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন। সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগকে আবারো ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.