দেশের প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি ছবির প্রদর্শনে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতি বেশ কয়েকটি শর্তের কথা জানিয়েছে। এই শর্তগুলো মেনে আমদানি করে হিন্দি ছবি প্রদর্শনের পক্ষে মত দিয়েছেন সমিতির নেতারা।
সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া শর্তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হলে হিন্দি ছবির প্রদর্শনের বেলায় মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে হলগুলোতে হিন্দি ছবি চালানো যাবে না। হিন্দি ছবি বছরের দুই ঈদে মুক্তি দেওয়া যাবে না কোনো হিন্দি ছবি। বছরে ৬টি বা ১০টি ছবি আসতে পারবে। হিন্দি ছবি আমদানির মেয়াদকাল হবে দুই বছর।
মঙ্গলবার এফডিসির পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই শর্তগুলো নিয়ে একমতে আসেন নির্মাতারা। উল্লেখিত শর্ত ছাড়াও হিন্দি ছবি আমদানিতে আরও কিছু শর্তের কথা জানিয়েছে সমিতি।
চলতি সপ্তাহে দেশের হলে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ মুক্তির দিতে চাইলে হিন্দি ছবি চলবে কি চলবে না এ নিয়ে বিভাজন তৈরি হয়। ‘পাঠান’ ছবিটি আমদানি করে এ দেশে মুক্তি দিতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টতথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কমিটি সভাও করেছে। কিন্তু পাঠান মুক্তির বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এরই মধ্যে পরিচালক সমিতি শর্তগুলো জুড়ে দিল।
এ বিষয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ বলেন, শুধু পাঠান নয় আমরা হিন্দি ছবির মুক্তির পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করেছি। দেশের হল বাঁচাতেহিন্দি ছবি চলবে কি চলবে না, এ ব্যাপারে আমি মিটিংয়ে কমিটির সবার মতামত চেয়েছিলাম। আগের কিছু শর্তের সঙ্গে বর্তমান কিছু শর্ত যোগ করে হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছি আমরা। মিটিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো শিগগিরই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে। তার আগে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনেরও মতামত নেওয়া হবে।’