মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না দেশের পেঁয়াজের বাজার। বরং সংকটের মুখে লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাইকারিতে গত দু’দিনে কেজিতে দাম ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় উঠেছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়তে শুরু করেছে; কোথাও কোথাও ১৩০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার মিয়ানমার থেকে প্রতিটিতে ১৩ মেট্রিক টন হিসাবে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে খাতুনগঞ্জে। সব মিলিয়ে পেঁয়াজের পরিমাণ ২শ মেট্রিক টন। অথচ স্বাভাবিক সময়ে আসতো দেড়শোর বেশি ট্রাকে করে অন্তত ৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতির সুযোগে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ গুণ।দেশের সবচে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে যখন এ পরিস্থিতি তখন খুচরা বাজারের চিত্র আরো ভয়াবহ।
মৌসুমের শেষ সময়ে দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি এবং সবচেয়ে বড় উৎস ভারতের রপ্তানি বন্ধের কারণে বাজারে সরবরাহ কমছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ অবস্থায় আমদানি না বাড়লে তা দামে আরও প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা তাদের।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অবশ্য জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের শেষে মিসরের পেঁয়াজের আরও চালান দেশের বাজারে মিলবে। তখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে, ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে। তিনি গতকাল রোববার আরও বলেন, ‘বর্তমান সংকটে কষ্টটা বোধহয় আরও এক মাস করতে হবে।’
তবে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে না আসা পযন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনাই দেখছেননা বলে জানান খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ।
কারওয়ান বাজারের মিনহাজ বাণিজ্যালয়ের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, মোকামে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কম। এ কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো উপায় দেখছেন না তিনি।