অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কারা অধিদপ্তরের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বজলুর রশীদ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২,৯৮১ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনতে ২০১৮ সালে একটি হাউজিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তিতে ফ্ল্যাটটির মূল্য বাবদ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেনের বিষয়ে বলা হয়েছিল। ওই বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ জুনের মধ্যে তিনি নগদ ও চেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার সঠিক কোনো উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।
কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ এখন ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্বরত ছিলেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন। জেল সুপার পদে বরগুনায় কর্মজীবন শুরু করে সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি এবং জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন তিনি।