সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির তথ্য থাকলে তার বিচার সেনাবাহিনী করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। একই সঙ্গে তিনি জানান, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে সরকারের সমর্থন রয়েছে।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক ক্রিসনামুর্থি ভেনকারা সুবরামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি নিয়মবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফ খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি ঋণ খেলাপিদের ধরতে চাই।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, ঋণখেলাপিরা অনেক শক্তিশালী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আপনি পারবেন কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেখা যাক পারা যায় কিনা। এরপর মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখছেন সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার কি ক্ষমতা কম ছিল?
এ সময় আগামী অর্থবছরের বাজেট বিষয়ে সাংবাদিকদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও রাজস্ব আহরণ বাড়ানো প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমাদের অর্থনীতিতে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো মোকাবিলা করতে হবে। আগামী বাজেটে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণকে যে ইশতেহার দিয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি জুন মসেই পাওয়া যাবে।