প্রাণোচ্ছ্বল, কাজপাগল তারকাদম্পতি দীর্ঘ ১৫ বছর একসঙ্গে ছিলেন। তার পর হঠাৎই আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত, ২০২১-এর জুলাই মাসে। ঝামেলা বা কাদা ছোড়াছুড়ির মতো ঘটনা ছিল না। আমির খান এবং কিরণ রাওয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের বোঝাপড়া অন্য খাতের।
যে বন্ধুত্ব আজও অটুট বলে জানালেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। ছেলে আজাদের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন দু’জনে। রয়েছে আগের পক্ষের দুই সন্তানও। আমির বলেন, ‘‘যতই ব্যস্ততা থাকুক, প্রতি সপ্তাহে আমাদের সবার সঙ্গে দেখা হয়। কথা হয়। আমরা আজও পরিবারের মতো।’’
কর্ণের সঙ্গে কফির আড্ডায় আমির আর করিনা কপূর ছিলেন এই পর্বে। ‘লাল সিংহ চড্ডা’-য় পর্দার দাম্পত্যের কথা নিয়ে হাসিঠাট্টার ফাঁকে ব্যক্তিগত জীবনের কথাও উঠে আসে। প্রসঙ্গক্রমে আসে কিরণের আগের স্ত্রী রীনা দত্তর কথাও। তাঁর সঙ্গেও আমিরের দুই সন্তান, যাদের মধ্যে ছোট ইরা।প্রাক্তন স্ত্রী রীনা দত্ত এবং কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে, অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘আমরা সবাই সপ্তাহে একবার একত্রিত হই। একে অপরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, যত্ন আজও অটুট। আমরা এখন আরও বড় পরিবার।’’
আমিরকে ছবি বানানোয় সহযোগিতা করেন ছেলে জুনেইদ।মাস দুই আগে ইরার জন্মদিনে ইরা, কিরণ থেকে শুরু করে পরিবারে সকলে একত্রিত হয়েছিলেন। তাদের সপরিবার জলকেলির দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। ছিলেন ইরার প্রেমিক নূপুরও। যেন বিভিন্ন প্রজন্ম, শাখাপ্রশাখা মিলেই পরিবারের নতুন ধারণা তৈরি করেছেন আমির।