মো. হাবিবুর আলম
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন! সেপ্টেম্বরেই ইসলামাবাদে যেতে পারেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের দু’টি সংবাদমাধ্যম। যদিও সরকারি ভাবে এই সফরের বিষয়ে কোনও ঘোষণা এখনও পর্যন্ত করা হয়নি।
ট্রাম্প পাকিস্তান সফরে গেলে, প্রায় দুই দশকে এটিই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসলামাবাদ সফর হবে। এর আগে ২০০৬ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। ট্রাম্পের আমেরিকা সফরের বিষয়ে ইসলামাবাদের আধিকারিকেরাও প্রকাশ্যে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তবে পাকিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদ সফরের পরে ভারত সফরেও আসতে পারেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, তিনিই ব্যবসার কথা বলে দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছেন। যদিও ভারত বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর বা তার পরবর্তী সংঘর্ষের সময়ে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি আলোচনায় কখনওই বাণিজ্যের প্রসঙ্গ উঠে আসেনি। ভারত বার বার বুঝিয়ে দিয়েছে, সংঘর্ষবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা হয়নি। তবে ট্রাম্পও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। ঘটনাচক্রে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পরবর্তী সময়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিল ইসলামবাদ।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের দাবিকেই একপ্রকার সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ। নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাবের সময় পাকিস্তানের বিদেশ দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘‘ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক অস্থিরতার মধ্যেই অসাধারণ কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প। কৌশলে তিনি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা করিয়েছেন। পরিস্থিতির খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে বৃহত্তর সংঘাত এড়ানো গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের বিপর্যয় আটকানো গিয়েছে।”
সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ঘুরে এসেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। একসঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছেন দু’জনে। ওই বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, মুনিরের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি সম্মানিত। তিনি বলেছিলেন, “যে কারণে আজ আমি এখানে, সেটা হল আমি ওঁকে (মুনির) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ, উনি যুদ্ধে না গিয়ে তা থামিয়েছিলেন।”