ওয়াগনারের ‘বিদ্রোহের’ কৌশলগতভাবে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটির বন্ধু রাষ্ট্র চীন।
পুতিনের গত ২৩ বছরের শাসনের এই সামরিক বিদ্রোহ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় মস্কোর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে শি জিনপিং সরকার।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রবিবার গভীর রাতে অনলাইনে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ যদিও এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, কৌশলগত অংশীদার হিসেবে, চীন দেশটির জাতীয় স্থিতিশীলতা বজায়, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে রাশিয়াকে সমর্থন করে।’
রবিবার বেইজিংয়ে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুডেনকোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।
বৈঠক সম্পর্কে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কিন গ্যাং ও আন্দ্রে রুডেনকো চীন-রাশিয়া ইস্যুতে আলাপ করেছেন। স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন তারা।
শনিবার রাশিয়া কাঁপিয়ে দেয় দেশটির সশস্ত্র ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার। যদিও রক্তপাত এড়াতে মস্কো অভিমুখ থেকে শেষ সময়ে তার বাহিনীর যাত্রা থামিয়ে দেন দলটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে দেশটিতে। সমঝোতা অনুযায়ী রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে পাড়ি জমানোর কথা রয়েছে প্রিগোজিনের। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতে প্রিগোজিনের ঘোষণাকে বিদ্রোহ ও বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।