ভারতের সংসদ ভবনে অখণ্ড মানচিত্রের বিষয়ে দিল্লি ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সোমবার (৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। তারপরও বাড়তি ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা জেনেছি—ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি খ্রিস্টের জন্মের তিন শত বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ণ করা হয়েছে মানুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শাহরিয়াল আলম বলেন, ‘নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে তত সোস্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার তত বাড়বে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়া হতে হবে।’
জো বাইডেনের কাছে লেখা ৬ কংগ্রেসম্যানের পাঠানো চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন। সে সময় ম্যুরালটি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। উদ্বোধনের দিন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ম্যুরালটিকে ‘অখণ্ড ভারত’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।