পুলিশের গুলিতে তরুণের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। এরই মধ্যে দাঙ্গা ও সহিংসতায় রূপ নিয়েছে এই প্রতিবাদ। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে প্রায় এক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, সহিংসতার পর ৯৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দাঙ্গা ও সহিংসতায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫৬০টি জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এক হাজার ৩৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৩৪টি বিল্ডিংয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তারা আরো বলছে, শুক্রবার রাতে ৭৯ জন পুলিশ আহত হয়েছে। ৫৮টি পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে।
ফ্রান্সে বিক্ষোভের সূত্রপাত মঙ্গলবার থেকে। ওই দিন সকালে প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক বিধি অমান্য করে জোরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নাহেল এম নামের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাহেল তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন পুলিশ সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাহেলের।
নাহেলের পরিবারের সদস্যরা আলজেরিয়া থেকে গিয়ে ফ্রান্সে স্থায়ী হয়েছেন। তাদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো নয়। প্যারিসের নানতের উপশহরটি মূলত দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকা। সেখানেই মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। নাহেল ও তার মা মৌনিয়া ইসলাম ধর্মাবলম্বী।