দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে কবর খুঁড়ে লাশ বের করে সেগুলো পরীক্ষা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, হামাসের গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলায় জব্দ করা জিম্মিদের দেহাবশেষের সন্ধানের অংশ হিসেবে মৃতদেহ উত্তোলন ও অপসারণ করা হয়েছে। এজন্য এই সপ্তাহের শুরুর দিকে খান ইউনিসের একটি কবরস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইসরায়েল।
অভিযানের পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বুলডোজার দিয়ে কবরস্থানটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কবরগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে গেছে। দেহাবশেষ উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
আইডিএফ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জানায়, গাজায় তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য জিম্মিদের উদ্ধার করা, তাদের মৃতদেহ খুঁজে বের করা এবং ফেরত দেওয়া। এ কারণেই কবরস্থানে অভিযান চালিয়ে লাশ অপসারণ করা হয়েছে।
আইডিএফের একজন মুখপাত্র বলেন, সর্বোচ্চ পেশাগত অবস্থান এবং মৃতদের প্রতি সম্মান রেখে নিরাপদ এবং বিকল্প স্থানে জিম্মি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে। মৃতদেহ জিম্মিদের না হলে যথাযত সম্মানের সাথে সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কবরস্থানে ইচ্ছাকৃত আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের সামিল। তবে খুব জটিল পরিস্থিতিতে কবরস্থান সামরিক লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে।
আইডিএফ আরও বলেছে, হামাস যদি ইসরায়েলি জনগণকে জিম্মি না করত, তাহলে আমাদের এই ধরনের অনুসন্ধানের প্রয়োজন থাকত না। কবরস্থান থেকে মৃতদেহ নেওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর ব্যবহারকারীরা বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ইসরায়েল বলেছে ৭ অক্টোবরের হামলায় ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ১৩২ জন জিম্মি এখনও গাজায় রয়েছে – তাদের মধ্যে ১০৫ জন জীবিত এবং ২৭ জন মারা গেছেন।