দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন প্রস্তাবের পর আজ শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে অভিশংসনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি হয়।
সামরিক আইন জারি ইস্যুতে ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) প্রথম ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালায়। তার সামরিক শাসন জারির পর অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ।
সেনাবাহিনী ও পুলিশকে উপেক্ষা করেই বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোট হয়। তবে সে ভোটে তিনি উতরে যান। তবে এবার তার শেষরক্ষা হলো না।
গত সপ্তাহে সামরিক আইন জারির স্বল্পকালীন প্রচেষ্টার জেরে তাকে সরকারি দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট পড়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, ইওল কর্তৃক নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন।
প্রস্তাব পাস হলেও ইওল অফিসে যাবেন। সাংবিধানিক আদালত আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর ইওলকে পদ থেকে অপসারণের পর দ্রুত নির্বাচন ডাকা হবে।
ইওলের পিপল পাওয়ার পার্টির কিছু সদস্য বিরোধী দলে যোগ দেওয়ার পরই অভিশংসিত হয়েছেন ইউন সুক-ইওল। পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) ৩০০ সদস্যের জাতীয় পরিষদে ১৯২টি আসন নিয়ন্ত্রণ করে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসেবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত আটটি ভোট পেতে হতো। অপরদিকে শাসক দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।
ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে পড়ে ২০৪ ভোট, বিপক্ষে পড়ে ৮৫ ভোট। পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মধ্যে তিন জন সংসদ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন এবং আটটি ভোট অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
ইওল গত ৩ ডিসেম্বরের রাতে জাতিকে হতবাক করে দিয়ে সামরিক আইন জারির চেষ্টা করেছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার জন্য সামরিক বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনার জন্য তিনি পরে জাতির কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন, কিন্তু তার সিদ্ধান্তকে তিনি সঠিক বলেই অভিহিত করেছেন।