মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা। তাই নিজ নাগরিকদের মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণে সতর্ক করেছে ইসরাইলের নিরাপত্তা পরিষদ। তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।
নাগরিকদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ মিশর ও জর্ডান ছাড়তে বলেছে ইসরাইল। একইসঙ্গে অন্যান্য আঞ্চলিক দেশে ভ্রমণ এড়াতেও আহ্বান জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধের ধারাবাহিকতার কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও উল্লেখযোগ্য উত্তেজনা দেখা গেছে। ইসরাইলি ও ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শত্রুতা-সহিংসতার প্রদর্শন করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোয় এ ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ অন্যান্য আরব দেশে অবস্থান থেকে সরে আসতে বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপসহ আশপাশের দেশগুলোয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ইসরাইলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় শুরু হওয়া ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে ইসরাইলি ভ্রমণকারীরা সশস্ত্র সংগঠনটির লক্ষ্যবস্তু হবে- এ আশঙ্কা করছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। যে কারণে মিশর (সিনাইসহ) ও জর্ডানে নাগরিকদের তাদের ভ্রমণ সতর্কতা ‘উচ্চ হুমকিতে’ (লেভেল-৪) উন্নীত করেছে কমিশন।
বিবৃতিতে এ সতর্কতা উল্লেখ করে দেশ দুটিতে ভ্রমণ না করার সুপারিশ ও সেখানে অবস্থানকারীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার জন্য আহ্বানও জানানো হয়েছে।
মিশর-জর্ডানের পাশাপাশি মরক্কোর ব্যাপারেও সতর্ক ইসরাইল। এ দেশটির জন্য হুমকির মাত্রা লেভেল-৩ এ উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি মরক্কোয় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ।
হামাসের হামলার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। বিমান হামলার পাশাপাশি জল ও স্থল পথে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। তার আগে বিভিন্ন দেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।