জহির রায়হান,বরিশাল
গোটা দক্ষিণাঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প কারখানার দুয়ার খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতু। শিল্প কারখানার বাড়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে বাড়বে বিদ্যুৎ চাহিদাও। তাই বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে আগেভাগেই প্রস্তুত নিচ্ছে সরকার৷
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবিষ্যতে চাহিদা পূরণে ২১ জেলায় ৩২টি নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ এবং ৩২টি সাবস্টেশন আপগ্রেড করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বরিশাল নগরীর চাঁদমারী এবং বিসিক শিল্প নগরীতে সম্পন্ন দুটি উচ্চক্ষমতা নতুন সাবস্টেশন উদ্বোধন করা হয় ।
বরিশাল ওজোপাডিকো’র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আমজাদ হোসেন ভিশননিউজ২৪.কম কে জানান, এই সাবস্টেশন দুটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক এসএএস প্রযুক্তি। যা স্মার্ট গ্রিড বাস্তবায়নে সিস্টেম লস কমাতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
তাই শিল্প কারখানা সহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাড়ার ভবিষ্যতের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সরকারের পাশাপাশি আগেভাগেই প্রস্তুত নিচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী ওজোপাডিকো।
পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ,বরিশাল প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে পাঁচটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে ২ হাজার ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এরমধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তের’শ ২০ মেগাওয়াট,ভোলায় প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক দুটি কেন্দ্রে ৪৫০ মেগাওয়াট, ফার্নেস ওয়েল ভিত্তিক পটুয়াখালীর ইউনাইটেড কেন্দ্রে ১৫০ মেগাওয়াট ও বরিশালের রুপাতলির সামিট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ১১০ মেগাওয়াটসহ মোট দুহাজার ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
বরিশাল পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আখতারুজ্জামান পলাশ জানান, বরিশাল বিভাগে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৪৪০ মেগাওয়াট কম-বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদার চেয়ে সাড়ে চার গুনের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে এখানকার পাঁচটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে। এখন যে বিদুৎতের চাহিদা আছে ভবিষ্যতে শিল্পকল-কারখানা, ব্যবসায়ীসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ব্যবহারের চাহিদা বাড়বে ৷ তাই সকলের বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটাতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।