সোহানি হাসান তিথি
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের হাসপাতাল, কৃষি, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছয়দিন ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় দিনের শুরুতেই থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে সরকারের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার কখা জানান।
ছয় দিনের ব্যাংকক সফরের তৃতীয় দিনে দিনের শুরুতেই থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচায় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার জানানো হয়। ফটো সেশনে অংশ নিয়ে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে একান্ত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। শীর্ষ দুই নেতার বৈঠক শেষে প্রতিনিধি পর্যায়ের একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে পাঁচটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্রে স্বাক্ষর করেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, হাসপাতাল, কৃষি, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ও চিকিৎসা খাত বিনিয়োগ আসলেন তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে নীতি সহায়তার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ দশমকি ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি বিমসটেক। তাই রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন প্রত্যাশা করে।
দুই দেশের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড়াই ভ্রমন চুক্তি, জ্বালানী খাত ও শুল্ক আদায়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে স্বাক্ষরিত সমঝোতাগুলো দুই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এক মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলতি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।