তুরস্কের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পর তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর ফলে তার দুই দশকব্যাপী শাসনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩ জুন ৬৯ বছর বয়সী এ নেতা তার মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করবেন। দেশটির অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এ নতুন দায়িত্ব পাওয়া অর্থমন্ত্রীকেই মুদ্রাস্ফীতি এবং তুর্কি মুদ্রা লিরার দরপতন রোধ করতে হবে।
তুরস্কের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী এ শাসক পশ্চিমাদের সঙ্গে একটি উত্তেজনাপূর্ণ কূটনীতিক সম্পর্কে আছেন। এ কারণে তাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে শঙ্কা আছে।
শনিবার তুর্কি পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর দেশটির রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সেখানে ২১ জন রাষ্ট্রপ্রধান, ১৩ জন প্রধানমন্ত্রী, অসংখ্য সংসদীয় ও মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, অর্গানাইজেশন অফ তুর্কিক স্টেটস (ওটিএস), ন্যাটো, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
তুরস্কের এ প্রভাবশালী নেতা গত ২৮ মে শক্তিশালী বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয় পান। অর্থনৈতিক সঙ্কট, বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের সমালোচনার পরও তাকে পরাজিত করা যায়নি। প্রথম দফা ভোটেও তিনি এগিয়ে ছিলেন।
মূলত, বিভিন্ন বিদেশি পরিসংখ্যান ও সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিনি আবারও তুরস্কের মসনদে আসীন হন।
এ বিষয়ে এরদোয়ানের দল একে পার্টির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি জনগণের দৃঢ় সমর্থন আছে।’
আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, মোট ভোটের ৫২. ১৮ শতাংশ পেয়েছেন এরদোয়ান। অপরদিকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮২ শতাংশ ভোট।