চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ঐতিহাসিক কংগ্রেস শুরু হলো রোববার । রাজধানী বেইজিংয়ে কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা।
সম্মেলনের মধ্যদিয়ে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্মেলন শুরুর দিনই ভাষণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বললেন, জিরো-কোভিড একটি ‘ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার জন্য সর্বাত্মক জনগণের যুদ্ধ। তিনি বলেন, এই নীতি জীবন রক্ষা করেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ৬৯ বছর বয়সী শি জিনপিংকে দলের সাধারণ সম্পাদক আবারও নির্বাচন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) নেতা হিসেবে তৃতীয় মেয়াদ মাও সেতুংয়ের পর তার সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই সম্মেলনকে ঘিরে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে সম্মেলনে অংশ নিতে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি জড়ো হয়েছেন। কংগ্রেস প্রতিনিধিরা প্রথমে বাছাই করবেন কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৪ সদস্য। পরে নির্বাচিত করবেন ২৫ সদস্যের পলিটব্যুরো। এটাই চীনের মন্ত্রিসভা।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রক এই পার্টির সম্মেলন একটি বড় বিষয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেসে দল ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এই কংগ্রেসেই বোঝা যাবে—আগামী পাঁচ বছরে চীন কীভাবে অসংখ্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। এই চ্যলেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ এবং মন্থর অর্থনীতি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কঠিন সম্পর্ক পর্যন্ত। এগুলো চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং ভৌগোলিক প্রভাবের জন্য বাড়তি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।